প্রকাশিত: Wed, Mar 27, 2024 1:28 PM
আপডেট: Tue, Apr 29, 2025 4:29 AM

[১]স্বাধীনতা ঘোষণার পাঠক কখনো ঘোষক হতে পারে না: ওবায়দুল কাদের

এম এম লিংকন: [২] আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, আবুল কাশেম, এমএ হান্নান এবং মেজর জিয়া স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেছেন। তারা বাঙালির জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেছেন। ১৯৭০ সালের নির্বাচনের মধ্যদিয়ে স্বাধীনতা ঘোষণার ম্যান্ডেট এ অঞ্চলের জনগণের পক্ষ থেকে একমাত্র বঙ্গবন্ধুই পেয়েছিলেন। আর কারো কোনো বৈধ অধিকার নেই স্বাধীনতার ঘোষক হাওয়ার।

[৩] তিনি বলেন, বিএনপির নেতৃত্বে যে সাম্প্রদায়িক অশুভ শক্তি বিজয়কে সংহতকরণে বাধা বা অন্তরায় হয়ে আছে, এ অপশক্তিকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পরাজিত করবো, প্রতিহত করবো এটাই আজ আমাদের শপথ। 

[৪] মঙ্গলবার সকালে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধের শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন। 

[৫] মন্ত্রী বলেন, সদ্য স্বাধীন দেশে সেই সময় বাস্তবতা ও নিরাপত্তাজনিত কারণে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার এই ঘোষণা নথি সংরক্ষণ করা সম্ভব ছিল না। পরবর্তী সময়ে সংবিধানের ষষ্ঠ তফসিলে বঙ্গবন্ধুর ঘোষণাটি অন্তর্ভুক্ত করা হয়। 

[৫.১] ১৯৮২ সালে বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রকাশিত বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের দলিলপত্র তৃতীয় খণ্ডে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এই ঘোষণা উল্লেখ করা হয়। এতে বলা হয়, ২৫ মার্চ মধ্য রাতের পর অর্থাৎ ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে এ ঘোষণা দেন তিনি যা তৎকালীন ইপিআর এর ট্রান্সমিটারের মাধ্যমে সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে। পরে চট্টগ্রামের স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে ২৬ ও ২৭ মার্চ বেশ কয়েকজন শেখ মুজিবের পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেন। 

[৫.২] বঙ্গবন্ধুর ঘোষণার মূল্যবান দলিলটি সেখানে লিপিবদ্ধ হয়েছে এভাবে, ইহাই হয়তো আমাদের শেষ বার্তা, আজ হইতে বাংলাদেশ স্বাধীন। আমি বাংলাদেশের জনগণকে আহ্বান জানাইতেছি যে, যে যেখানে আছে, যাহার যাহা কিছু আছে, তাই নিয়ে রুখে দাঁড়াও, সর্বশক্তি দিয়ে হানাদার বাহিনীকে প্রতিরোধ করো। পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর শেষ সৈন্যটিকে বাংলার মাটি হইতে বিতাড়িত না করা পর্যন্ত এবং চূড়ান্ত বিজয় অর্জন না হওয়া পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাও। শেখ মুজিবুর রহমান। ২৬ মার্চ, ১৯৭১। 

[৬] ওবায়দুল কাদের বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমেও ছড়িয়ে পড়ে। এমনিক মার্কিন হোয়াইট হাইজের গোপন কক্ষেও বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণার দলিল আছে বলেও প্রকাশিত হয়েছে।

[৭] আজও আমাদের দেশের স্বাধীনতার ঘোষক নিয়ে বিতর্ক হয়, এই অভিযোগ তুলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, এত বছর পরও সেই বিতর্ক চলছে। আমাদের বক্তব্য, ঘোষণার পাঠক ঘোষক হতে পারে না। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, কে ঘোষক? এ বিতর্কের অবসান তখনই হবে যখন আমরা সত্যের অনুসন্ধান করতে যাবো। 

[৮] ভারতবিরোধিতা প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিরোধিতা আগেও হয়েছে, এখনও হচ্ছে। এটা নতুন কিছু না। এই বিরোধিতা পাকিস্তান আমল থেকেই হয়ে আসছে। যখন কোনো ইস্যু থাকে না, তখনই ভারত বিরোধিতা ইস্যু সামনে আসে। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব